কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের হাদুরছড়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র সহ একই পরিবারের ৭ জন মারাত্নক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র মো. আরফি (২০) রশিদা বেগম (৩৮), মো. হারুন( ৩৪), কক্সবাজার সিটি কলেজের মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্র মো. ফারুক(২৫)। তারা চার জনই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র মো. আরফি (২০) মাথায় ১২ টি সেলাই দেয়া হয়েছে হয়ে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অন্যদের মাথায়, পিটে, হাতে মারাত্মক জখম হয়েছে। আহত ৭ জনের মধ্যে জহির আহমদ (৬৫), জোস্না আক্তার (২০), ফাতেমা খাতুন (৫০) টেকনাফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদেরও জখম হয়েছে বলে দাবি করেছেন আহতদের পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আহত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র মো. আরফি জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে বাড়িতে সবাই অবস্থান করছিল। হঠাৎ সাবারাং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিদ্দিক আহমদ ও তার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য সোলতান আহমদের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক তাদের বসতঘর ঘেরাও করে। একপর্যায়ে কিছু বুঝে উঠার আগে তার বড় ভাই হারুনের উপর হামলা চালায়। পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরও উপরও হামলা চালায়। এতে পরিবারের ৭ সদস্য আহত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র মো. আরফি আরো দাবি করেন, ইতিপূর্বেও ওই মেম্বারের নেতৃত্বে তাদের পরিবার সহ এলাকার অন্য লোকজনদের উপর হামলা চালায় তারা।
অভিযোগের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. সিদ্দিক আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন।৷ বিষয়টি নিয়ে উল্টো তার অপর ভাই সাবেক মেম্বার সোলতান আহমেদের সাথে কথা বলতে পরামর্শ দেন।
তার পরামর্শ মতে গতকাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ৫ টার দিকে মুঠোফোন সাবেক মেম্বার সোলতান আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তার ছোট ভাই হোসেন আহমেদ এর মেয়ে এক ছেলে সাথে বিয়ে ঠিক হয়। জহির আহমেদ এর ছেলে আরিফ এতে বাঁধা দেয়। এবং নানা অপপ্রচার চালায়। বিষয়টি বুধবার রাতে আরিফের পরিবারকে জানানোর জন্য গেলে উল্টো তাদের হামলার চেষ্টা চালায়। ওই সময় আমাদের ক্ষু্দ্ধ লোকজন তাদের উপর হামলায় চালায়। এতে জহিরের পরিবারের লোকজন আহত হয় বলে অপকটে স্বীকার করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় থানা দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আবদু রাজ্জাকের মুঠোফোন কয়েকদফা যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।